ছেলেদের লিঙ্গের বিভিন্ন নাম ও ধরণ
ছেলেদের লিঙ্গের গঠন ও ধরণ কেমন হয় তা জানার আগ্রহ মেয়েদের মনেও থাকে। সেসব মেয়েদের জানার আগ্রহ পূরনে রয়েছে কামসূত্র বইয়ের থেকে নেওয়া ছেলেদের পুরুষাঙ্গ ধরণ সম্পর্কে ২০ টি তথ্য ও ধরণ বর্ণনা।
একান্ত নির্জনে গোপন আলাপ বইতে পুরুষের প্রকারভেদ ও পুরুষাঙ্গের আকার সম্পর্কে লেখক বর্ণনা করেছেন। তবে আমার এ লেখাতে ছেলেদের গোপন অঙ্গ বর্ণনাতে পার্থক্য রয়েছে। যা ইতি পূর্বে পোস্ট করার সাথে এটির মিল নেই।
পুরুষাঙ্গের নাম কামারের হাপর—কেননা কামারের হাপর যেমন প্রসারিত সংকুচিত হয়, পুরুষাঙ্গেও তাঁর ব্যতিক্রম হয় না। ফেপে উঠলেই খাড়া, চুপসে গেলেই নিঝুম। এর আর এক নাম (কবুতর)। অর্থাৎ ডিমের ওপর পায়রা বসে থাকার মতো নিস্তেজ, কিন্তু তাঁর আগে তেজী।
তাই জেনে নিন পুরুষাঙ্গের নানান নাম ও তাঁর কর্ম পরিচয়।
০১) ঘন্টা : যোনিদেশে প্রবেশ ও নির্গমনের শব্দটির সমনাম-ঠিক ঘন্টার মতোই টিনটিনে আওয়াজ।
০২) অবাধ্য : অবাধ্য তো বটেই, একবার মাথা তুললে, মাস্তানদের মতোই যোনিতে ঢুকে পড়বে—কারোর পরোয়া করবে না।
০৩) খুল্লমখুল্লা : ইতিহাস বলে তিনবার ঢুকে যদি বেরিয়ে আসে, তাহলে বেগমকে তাঁর প্রথম জনাবের কাছে যেতে হবে।
০৪) প্রহরী : ঠি প্রহরীর মতোই গুঁড়ি মেরে মেরে ঊরুর ওপর দিয়ে যোনিমুখে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর, ভেতরে ঢুকে প্রহরা শেষ করে।
০৫) উত্তেজক : প্রবেশ প্রস্থানে বেজায় সুড়সুড়ি দেয়।
০৬) সুপ্ত : ঘুমন্ত রাক্ষস! জেগে উঠলে রক্ষে নেই কিন্তু থাকে ঘাপটি মেরে। দেখে বোঝার উপায় নেই জেগে উঠলে কী না করতে পারে! অনেক সময় ‘কাজ শেষ করে যোনির মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ে। তবে, বেশির ভাগ সময়ে বেরিয়ে আসে দৃপ্ত কিন্তু ঘুম-ঘুম ঢঙে।
০৭) শাবল : শাবল যেমন আটকে গেলেই খোঁচাতে থাকে, এটির স্বাভাবও তেমনি।
০৮) দর্জি : দর্জি যেমন মাকুতে সুতো জড়ায়, কিংবা ছুঁচটা। এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় করে-এটিও তাঁর থেকে কিছু কম যায় না।
০৯) কামনা নিবৃত্তি : বড়সড় পুরুষাঙ্গ স্খলন খুবই মন্থরগতি। যে কোনো রমণীকে রমণে তৃপ্তি দিতে ওস্তাদ। একেবারে উঁচুতে নিয়ে গিয়ে, খুবই মন্থরগতি এই সঙ্গম। মনে হয় ‘ভেতরে’ যেন আরও কিছুক্ষণ থাকতে চায়। ডান-বাঁ উচু-নিচু সর্বত্রই এ যায়। যোনি এর মাথাটিকে চেপে ধরার জন্যে উন্মুখ, অধীর হয়ে ওঠে। পেলে আর ছাড়তে চায় না এই ‘কামনার ধন।’
১০) ওলটপালট : পালটি হন্যে হয়ে ঢুকে পড়ে, যেন ভীষণ ব্যস্ত। তারপর, উলটে পালটে, একেবারে যোনি বিন্দুতে হামলে পড়ে।
১১) জঙ্গি : যোনি দ্বারে ঈর্ষৎ টোকা দেয়; ঢুকতে দাও। দ্বার খুললে ভাল, সোজা ঢুকে যাবে। না হলে, জঙ্গি কায়দায় অনবরত টোকা মেরে যাবে যতক্ষণ না খোলে। অর্থাৎ ‘দরজা’ খুলিয়ে ছাড়বে।
১২) সাতারু : ঠিক সাঁতারুর মতোই তাঁর ভাবভঙ্গি। এক জায়গায় থাকে না, ডায়ে বাঁয়ে করে, এগিয়ে পিছিয়ে বীর্যসমুদ্রে সাঁতারে গিয়ে যোনির তটদেশ ধরে-যাতে ডুবে না যায়!
১৩) চোর : ঠিক চোরের মতোই যোনিদ্বারে আসে। যোনি প্রশ্ন করে : ‘কী চাই? ‘ভেতরে ঢুকতে চাই।’—অসম্ভব! অত বড় আমি নিতে পারব না।’ এরপর সে মাথা দিয়ে একটু গুঁতোয়। যোনি-ঠোঁটে একটু ঘষাঘষি চালায়। তাঁরপরই, এক ধাক্কায় পুরোটা সেঁদিয়ে দেয়।
১৪) একচোখা : একটাই চোখ বেচারার—ঠিক মতো দেখতে পায় না—সেফ্র ঠাওর করতে পারে!
১৫) হোঁচট : রাস্তায় পাথর থাকলে লোকে যেমন হোঁচট খেতে খেতেও জোর কদম চালাবার চেষ্টা করে, এ-ও তেমনি যোনির অভ্যন্তরে না যাওয়া অবধি হোঁচট খেতে খেতে ঢুকে পড়ে।
১৬) লাজুক : অজানা অচেনা যোনি দেখলে বেচারা প্রথমটা ভড়কে যায়, তারপর একটু আলাপ পরিচয় হলেই ‘সাহসী’ হয়ে ওঠে দৃপ্ত ভঙ্গিতে। কিন্তু মুশকিল, মাঝে মাঝে এমন ঘাবড়ে যায় যে মাথা নামিয়ে বসে থাকে। অজানা কেউ হাজির থাকলে, কার সাধ্যি তাঁর লজ্জা ভাঙায়!
১৭) ছিঁচকাঁদুনে : যখন তখন ‘জল’ গড়ায়। খাড়া হয়ে দাঁড়ালেও জল, খুসসুরৎ কোনো মেয়ে দেখলেও ‘জল’ অনবরতই এর আঠলো জল জড়িয়ে পড়ে।
১৮) খননকারী : একবার ঢুকে পড়লেই হলো, সঙ্গে সঙ্গে ‘খনন করতে শুরু করে দেবে তারপর অকুস্থলে পৌঁছে তবেই শান্তি।
১৯) সংযোগকারী : চুলে চুলে সেঁটে না যাওয়া অবধি কসরৎ চালিয়ে যাবে, পারলে মূল অবধি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
২০) আশাবাদী : ভীষণ আশাবাদী স্বভাব। যোনি দেখলে, এমন কি কোনো যোনির কথা হঠাৎ মনে পড়লেও এর ‘চোখ’ প্রত্যাশায় “টসটসিয়ে’ ওঠে। এই টসটসে ভাবটা এর একেবারেই যায় না। কিছুদিন ‘বেকার’ বসে থাকলে তো কথাই নেই, ‘টসটসিয়ে’ মনিবের কাপড়চোপড়।